চামড়া শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার: শিল্পমন্ত্রী

দেশে চামড়া শিল্পের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, চামড়া শিল্প দেশের অন্যতম একটি রফতানিমুখী ও বহুমুখী সম্ভাবনাময় খাত। সরকার এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে গতকাল রোববার এ কথা বলেন তিনি। ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। অন্যদের মধ্যে অংশ নেন অতিরিক্ত সচিব শিবনাথ রায়, বিসিআইসির চেয়ারম্যান শাহ মো. ইমদাদুল হক ও বিসিক চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান এনডিসি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) মো. গোলাম ইয়াহিয়া।
এ অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, চামড়া শিল্পের অধিকাংশ কাঁচামাল (কাঁচা চামড়া) কোরবানির সময় সংগ্রহ করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ও দপ্তর বা সংস্থার পূর্বপ্রস্তুতির ও সার্বিক তত্ত্বাবধানের কারণে এবারের কোরবানির চামড়া নিয়ে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অব্যবস্থাপনা তৈরি হয়নি।
মন্ত্রী আরও বলেন, চামড়া সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণের সরবরাহ ছিল। কোনো চামড়া নষ্ট হয়নি। জেলা, বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং ও টিমওয়ার্ক করা হয়েছে। যে কারণে চামড়া সংগ্রহ, পরিবহন ও সংরক্ষণের চামড়া ব্যবস্থাপনায় এবার সুফল এসেছে। এ বছর প্রচার ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে চালানো হয়েছে। ফলে আমরা কোরবানির চামড়া ব্যবস্থাপনার সুফল পেয়েছি। এ সময় শিল্পমন্ত্রী করোনা মহামারির মধ্যেও শিল্প মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোরবানির চামড়া কীভাবে সংরক্ষণ ও স্থানান্তর করতে হবে, এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় যথাসময়ে সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম গ্রহণ করে। সে কারণে এ বছর চামড়া নিয়ে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। এবার চামড়া সংরক্ষণ, স্থানান্তর ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শিল্প মন্ত্রণালয় সফল হয়েছে। ব্যবসায়ীরা চামড়ার সঠিক দাম পেয়েছেন।
সভাপতির বক্তব্যে শিল্প সচিব বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়, বিসিক ও মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের সহায়তায় ও কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আন্তরিক সহযোগিতায় এবারের কোরবানি করা পশুর চামড়া সংরক্ষণ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।