রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পণ্য খালাস করায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল
বেনাপোল স্থলবন্দরে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে প্রায় কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে গতকাল বুধবার ২৮ জুলাই এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে বন্দর থেকে ৩৯ ট্রাক আঙ্গুর, টমেটো ও আনারের চালান বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় রয়েল এন্টারপ্রাইজ নামে এক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জড়িত। জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত মঙ্গলবার ২৭ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করা হয়।
কাস্টমস সূত্র বলছে, গত শনিবার ২৪ জুলাই ছুটির দিনে ভারত থেকে ৩৯ ট্রাক ফলের চালানে মিথ্যা ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে প্রায় ১ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পণ্যগুলো খালাসের দায়িত্বে ছিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রয়েল এন্টারপ্রাইজ। কাস্টমস কর্মকর্তাদের না জানিয়ে তারা বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড থেকে পণ্যের চালান বের করে নিয়ে যায়।
ঘটনা জানার পর বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার মো. আজিজুর রহমানের নির্দেশে ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব আদায়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার ২৬ জুলাই সকালে ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বাধ্য হয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রয়েল এন্টারপ্রাইজ।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, রয়েল এন্টারপ্রাইজ শুধু এবারই এ ধরনের জালিয়াতি করেনি, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রতি শনিবার ছুটির দিন মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পণ্য খালাসের অভিযোগ রয়েছে।
লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রয়েল এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলাম রয়েল। তিনি বলেন, ৩৯ ট্রাক পণ্যের রাজস্ব পরের দিন পরিশোধ করা হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ও লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম বলেন, জালিয়াতি করে বন্দর থেকে ৩৯ ট্রাক পণ্য খালাস করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ অভিযোগে রয়েল এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।