৯৯৯ এ ইভটিজিং শিকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ফোন কলে আটক এক, ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা

জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ইভটিজিংয়ের শিকার ভুক্তভোগী এক তরুণীর ফোন কলে একজন ইভটিজার তরুণকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করেছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার পুলিশ।
বুধবার সকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানাধীন ফতেয়াবাদ বড়দিঘীরপাড় থেকে কান্নাজড়িত স্বরে একজন তরুণী (২৬) ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, তিনি একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্রী। তার গ্রামের বাড়ী কক্সবাজারের মহেশখালী থানায়। তিনি গত প্রায় একবছর ধরে তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বড় বোন ও বড় ভাইয়ের সাথে বড়দিঘীরপাড়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। গত বছরখানেক ধরে এলাকার কিছু ছেলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ও টিউশনি করতে যাওয়া আসার পথে নানারকম ভাবে উত্যক্ত করে আসছিল। কিন্তু দিন দিন উত্যক্তকারীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছিল ও উত্যক্ত করার মাত্রা বেড়ে যাচ্ছিল। কলার আরো জানান, বুধবার সকালে তিনি ও তার বোন বাসায় আসার পথে কিছু ছেলে তাদের ইভটিজিং করে এবং মোটরসাইকেলে করে তাদের পিছু পিছু বাসা পর্যন্ত চলে আসে। তার বোন প্রতিবাদ করলে নানা রকম অশ্রাব্য আজে বাজে ভাষায় তাদেরকে হেনস্থা করা হয়। তরুণী ৯৯৯ এর কাছে আইনী সহায়তার অনুরোধ জানান।
৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি হাটহাজারী থানায় জানিয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। সংবাদ পেয়ে হাটহাজারী থানা পুলিশের একটি দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যায়।
পরে হাটহাজারী থানার এস আই জাহাঙ্গীর আলম ৯৯৯ কে ফোনে জানান তারা ঘটনাস্থল হতে রকিব (২১), পিতা – ইমরান, বড়দিঘীরপাড়, হাটহাজারী কে আটক করেন এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযুক্তের অভিভাবকের উপস্থিতে তাকে বিশহাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকান্ড করবেন না এ মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়।
৯৯৯ দেশের যে কোন প্রান্তে চব্বিশ ঘন্টা নাগরিকের জরুরী মুহুর্তে ও প্রয়োজনে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এম্ব্যুল্যান্স সেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর।