বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি মূল্যায়নে সেরা হিসেবে প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করল আইসিটি বিভাগ
 
                                                                                                সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, দক্ষতা, দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও   প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নে সকল মন্ত্রণালয় বিভাগে মধ্যে সেরা হয়ে  প্রথম পুরস্কার  অর্জন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
 ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদনে ৫১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৪.৯৭ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে আইসিটি বিভাগ। এ বিভাগ  উক্ত অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন মূল্যায়নের ৭৬টি সূচকের মধ্যে ৬৫টিতে শতভাগ সফলতা অর্জন করে।
 রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে  মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক   আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের নিকট এ পুরস্কার হস্তান্তর করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি  পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সিনিয়র সচিব,  সচিবগণ মূল অনুষ্ঠানস্থল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে উপস্থিত ছিলেন ।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রবর্তন করা হয় এই বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)।
উল্লেখ্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের দিকনির্দেশনায় বিগত ১২ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের যথাযথ অবকাঠামো গড়ে উঠার কারণে কোভিড-১৯ মহামারিতেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আদালত ও সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। 
দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টার পরিকল্পনা অনুযায়ী আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে করোনা পরিস্থিতিতে সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে ‘বিজনেস ‘কন্টিনিউটি প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়। এছাড়াও করোনা মহামারি মোকাবিলায় ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম "সুরক্ষা" অ্যাপস , করোনা বিডি অ্যাপ এবং কন্টাক্ট ট্র্যাসিং অ্যাপ, করোনা পোর্টাল, করোনা হেল্পলাইন ৩৩৩, টেলি-হেলথ সেন্টার, টেলিমেডিসিন নেটওয়ার্ক, প্রবাস বন্ধু কলসেন্টারসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে আইসিটি বিভাগ  কার্যকরী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে চলেছে।
 দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। কোভিড কালীন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও ফ্রিল্যান্সাররা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। বর্তমানে রাজধানীর সঙ্গে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সকল এলাকার মধ্যে ডিজিটালি কোনো দূরত্ব নেই। 
                                
 
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            