২৪ ঘন্টার মধ্যেই কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে: মেয়র আতিক
 
                                                                                                ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডিএনসিসির সমগ্র এলাকায় ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে।
আজ ২১শে জুলাই, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ রোজ- বুধবার দুপুরে রাজধানীর ভাটারা (সাইদ নগর) পশুর হাটে কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে ডিএনসিসি মেয়র একথা বলেন।
নগরবাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজে সর্বমোট ১১ হাজার ৫ শত ৮ জন কর্মী নিয়োজিত রয়েছে।
মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণে গুলশানের নগর ভবনে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে, কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলো হলো- ০২৫৮৮১৪২২০, ০৯৬০২২২২৩৩৩ এবং ০৯৬০২২২২৩৩৪।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলো ছাড়াও "সবার ঢাকা" মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করেও যে কোন নাগরিক কোরবানীর পশুর বর্জ্য সংক্রান্ত তথ্য দিলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেই বর্জ্য অপসারণ করা হবে।
তিনি বলেন, কোরবানীর পশুর বর্জ্য দ্বারা যাতে নগরীর কোথাও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি না হয় সেজন্য নগরবাসীর মাঝে যথাসময়ে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার বর্জ্য ব্যাগ, ৫০ মেট্রিক টন ব্লিচিং পাউডার এবং ৫ লিটার আয়তনের ১ হাজার ৫ ক্যান স্যাভলন বিতরণ করা হয়েছ।
মোঃ আতিকুল ইসলাম যত্রতত্র কোরবানীর পশুর বর্জ্য না ফেলে সরবরাহকৃত ব্যাগে ভরে নির্ধারিত স্থানে রাখার জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ করেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, করোনা মহামারীকালে যাতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় কারও মৃত্যু না হয়, সেজন্য নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশেপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে এডিস মশার বংশবিস্তারকে রোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, ছাদ কিংবা অন্য কিছুতে যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
মোঃ আতিকুল ইসলাম নিজেই ময়লার গাড়ী চালিয়ে বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।
ডিএনসিসি মেয়র ভাটারা (সাইদ নগর) পশুর হাট ছাড়াও গুলশান, মোহাম্মদপুর, ৬০ ফিট এবং মিরপুরসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার রাজধানী ঢাকাকে দখল, দূষণ ও দুষ্ট লোকের কবল থেকে মুক্ত করে সবার বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও অত্যাধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা এবং স্থানীয় কাউন্সিলরবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন।
                                
 
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            