মহানগরীর নিরাপত্তায় পুলিশের একাধিক টিম দায়িত্ব পালন করছে: ডিএমপি কমিশনার
 
                                                                                                 পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদযাপন উপলক্ষে মহানগরীতে চুরি, ডাকাতি রোধে থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। বাসা-বাড়ি ত্যাগ করার পূর্বে দরজা-জানালার লকটা ঠিকমতো লাগানো হয়েছে কি-না তা চেক করার অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম(বার)।
আজ ২০ জুলাই, ২০২১ মঙ্গলবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদযাপন উপলক্ষে ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সম্মানিত মহানগরবাসীর করণীয় শীর্ষক ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপি কমিশনার।
সম্মানিত মহানগরবাসীকে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কুরবানীর ঈদকে কেন্দ্র করে অনেকে রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যান। এ সময় বাসায় নগদ টাকা ও মূল্যবান স্বর্ণালংকার নিকট আত্মীয় যাঁরা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন না তাদের নিকট রাখার চেষ্টা করুন অথবা ব্যাংকের লকারে রাখুন। বাসায় দারোয়ান থাকলে তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। সিসিটিভি সচল কি-না সে বিষয়ে নিশ্চিত হোন।
পশুর হাটের নিরাপত্তা বিষয়ে কমিশনার বলেন, আমাদের দেশে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা মূলত কোরবানী কেন্দ্রিক। তাই মহানগরের প্রতিটি পশুর হাটে দুই স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অজ্ঞান বা মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে কেউ যেন সর্বশান্ত না হন এজন্য দৃশ্যমান ও সাদা পোশাকে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। জাল টাকা দিয়ে ব্যবসায়ীকে কেউ যেন ঠকাতে না পারে এজন্য প্রতিটি হাটে স্থাপন করা হয়েছে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন। ব্যবসায়ীদের টাকা বহনে যাতে কোন সমস্যা না হয় এজন্য স্থাপন করা হয়েছে বুথ ও প্রয়োজনে টাকা বহনে ব্যবসায়ীরা পুলিশি সহায়তা নিতে পারেন। যানজট নিরসনে কাজ করছে আমাদের ট্রাফিক পুলিশ।
ঈদের জামাত কেন্দ্রিক নিরাপত্তা বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রত্যেককে ঈদের জামাতে অংশ গ্রহন করতে হবে। প্রত্যেককে আর্চওয়ে গেটের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। ঈদের জামাত চলাকালীন পুলিশের নিরাপত্তা অব্যাহত থাকবে।
স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রতিটি মানুষের প্রথম নিরাপত্তার দায়িত্ব তাঁরই, আমি নিজে যদি সচেতন না হই, সাবধানে না থাকি তাহলে কেউ আমাকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না। যে পরিবারের কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন শুধু তারাই একটু সচেতন হচ্ছেন। কিন্তু শুধু তারা না এই অতিমারী সময়ে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।
মহামারি করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার উদযাপন করতে সম্মানিত মহানগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।
                                
 
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            