করারোপের মাধ্যমে তামাকপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই
 
                                                                                                তামাকমুক্ত দেশ গড়তে হলে সব ধরনের তামাকপণ্যের সহজলভ্যতা কমানো দরকার। আর এজন্য কার্যকরভাবে করারোপের মাধ্যমে তামাকপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্যরা। কাজেই তামাকবিরোধী সংগঠন ও গবেষকদের সঙ্গে নিয়ে সংসদ সদস্যদের তামাকে কার্যকর করারোপের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
গতকাল মঙ্গলবার ১৩ জুলাই বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে বাজেট ২০২১-২২-এ তামাকপণ্যে ‘মাননীয় সংসদ সদস্যদের ভাবনা’ শীর্ষক অনলাইন বৈঠকে এ অভিমত জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের ১১ জন সংসদ সদস্য। 
অনলাইনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ড. আতিউর রহমান। এতে অংশ নেওয়া সংসদ সদস্যরা হলেন ফজলে হোসেন বাদশা (রাজশাহী-২), মো. সাইফুজ্জামান (মাগুরা-১), শিরীন আখতার (ফেনী-১), নাজমা আকতার (মহিলা আসন ৪৬), মো. সাহিদুজ্জামান (মেহেরপুর-২), শামসুন নাহার (মহিলা আসন ১৩), এমএ মতিন (কুড়িগ্রাম-৩), আব্দুল মান্নান (লক্ষ্মীপুর-৪), অপরাজিতা হক (মহিলা আসন ২০), মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার (বগুড়া-৩) এবং গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার (মহিলা আসন ৩০)।
মূল নিবন্ধ উপস্থাপনের সময় ড. আতিউর রহমান বলেন, তামাকপণ্যে কার্যকর করারোপই যে তামাক ব্যবহার কমিয়ে আনার চেয়ে কার্যকর পদ্ধতি, তা প্রমাণিত। ফিলিপাইন, গাম্বিয়া, শ্রীলংকা, কলম্বিয়া ও ওমানে যখন করারোপের মাধ্যমে একদিকে তামাক ব্যবহার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় কমিয়ে আনা গেছে, পাশাপাশি তামাক বিক্রি থেকে আদায় করা করও বেড়েছে। বাংলাদেশেও গবেষণানির্ভর অ্যাডভোকেসি কার্যক্রমে সব অংশীজনকে সঠিকভাবে যুক্ত করতে পারলে তামাকপণ্যে কার্যকর করারোপ সম্ভব। 
এছাড়া তামাকপণ্যে করারোপের দায়িত্বে থাকা রাজস্ব কর্মকর্তাদের জন্য প্রণোদনা ব্যবস্থা এবং এ বিষয়ে আরও গভীর গবেষণাসহ কিছু প্রস্তাবনা তিনি তুলে ধরেন।
মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান বলেন, তামাকে কর বিষয়ে সোচ্চার সংসদ সদস্যদের ককাস গঠন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওপর যথাযথ করারোপের জন্য চাপ সৃষ্টি করা যেতে পারে। কৃষি ও কৃষককে সহায়তা করার জন্য সরকারের যেসব ইতিবাচক উদ্যোগ আছে, তামাক চাষে যেন সেগুলো না দেওয়া হয়। এ সময় সাইফুজ্জামানের পক্ষে মত দেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরীন আখতার। এছাড়া সংসদ সদস্যরা তামাকের চাষে যুক্ত কৃষক এ তামাক শিল্পে যুক্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও শ্রমিকদের বিকল্প আয়ের উৎসের ব্যবস্থা করার ওপর জোর দেন। তামাকে বাড়তি করারোপের মাধ্যমে পাওয়া অর্থের একটি অংশ এসব কাজে বিনিয়োগের পক্ষে তারা মত দেন। সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ প্রকল্প পরিচালক শাহীন উল আলম উন্নয়ন সমন্বয়ের পক্ষে সংসদ সদস্যদের জ্ঞাপন করেন।
                                
 
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            