কাজাখ রাজধানীতে ওআইসি সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ
রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)’র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক দ্বিতীয় সম্মেলনে যোগ দিবেন। সম্মেলনে মুসলিম বিশ্বের নেতৃবৃন্দ ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ১৮০ কোটি মানুষের বিভিন্ন স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলা তুলে ধরবেন।
সম্মেলনে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানি, পরিবেশ, নবায়নযোগ্য জ্বালানী ও মুসলিম বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হবে। এর আগে ২০১৭ সালের ১০-১১ সেপ্টেম্বর কাজাখস্থানের রাজধানী আস্তানা (বর্তমান নূর-সুলতানে) আয়োজিত ওআইসি’র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রথম সম্মেলনে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, ওআইসি জেনারেল সেক্রেটারিয়েট ‘বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন: নতুন দিগন্তের উন্মোচন’ শীর্ষক থীমের এই শীর্ষ সম্মেলনটি ভার্চুয়ালি আয়োজন করবেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হামিদ বুধবার বিকেলে এই সম্মেলনে বঙ্গভবন থেকে ভিডিও বক্তব্য প্রদান করবেন।
১৯৬৯ সালে গঠিত ওআইসি’র সদস্য সংখ্যা ৫৭টি, এর মধ্যে ৫৬টি সদস্য রাষ্ট্র জাতিসংঘেরও সদস্য। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ৪২টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। ওআইসি ‘আন্তর্জাতিক শান্তি ও সম্প্রীতির ভিত্তিতে মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ সুরক্ষায় কাজ করে।’
কয়েকটি দেশ, বিশেষত পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক মুসলিম জনগোষ্ঠীর বসবাস। অন্যদিকে রাশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো অল্প যে কয়েকটি দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম জনগোষ্ঠী রয়েছে, সেসব দেশ পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে সম্মেলনে যোগ দেয়। আর ভারত ও ইথিওপিয়ার মতো অন্যান্য দেশগুলোতে মুসলিম জনসংখ্যা কম হওয়ার কারণে, এই দেশগুলো ওআইসি’র সদস্য নয়।