শিরোনাম

রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

 প্রকাশ: ৩১ মে ২০২১, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন   |   রাষ্ট্রপতি


রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের জন্ম ১ জানুয়ারী ১৯৪৪। গ্রাম কামালপুর, মিটামইন, কিশোরগঞ্জ, বাংলাদেশ। তাঁর রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। স্ত্রী’র নাম রাশিদা হামিদ। তাঁর তিন ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলেরা হলেন, রেজোয়ান আহম্মদ তৌফিক, রাসেল আহমেদ তুহিন, রিয়াদ আহমেদ তুষার এবং একমাত্র মেয়ে স্বর্ণা হামিদ।

তিনি লেখাপড়া করেছেন গুরুদয়াল কলেজে। পেশা জীবনে তিনি একজন আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। তিনি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন কাটিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শের আলোকে। তিনি জাতীয়সংসদের স্পিকার থাকাকালীন সময়ে কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষা্র কারণে বেশি পরিচিতি লাভ করেন। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি খুবই সহজ সরল একজন মানুষ। বিভিন্ন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদানের কারণে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।

রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ব২৪ এপ্রিল ২০১৩ থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাঁর পূর্বে ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। এর আগে তিনি ২৫ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ২৪ এপ্রিল ২০১৩ পর্যন্ত জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্বপালন করেন ১৪ জুলাই ১৯৯৬ থেকে ১০ জুলাই ২০০১। উক্ত মেয়াদের পূর্বে এল কে সিদ্দিকী এবং পরে আক্তার হামিদ সিদ্দিকী দায়িত্বে ছিলেন।

ময়মনসিংহ-৩০ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে ৭ মার্চ ১৯৭৩ থেকে ৬ নভেম্বর ১৯৭৬ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন।

কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে ৭ মে ১৯৮৬ থেকে ৩ মার্চ ১৯৮৮ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তিতে আব্দুল লতিফ ভূঁইয়া নির্বাচিত হন। কিশোগঞ্জ-৫ আসন থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। উক্ত আসনে ১২ জুন ১৯৯৬ থেকে ২৯ অক্টোবর ২০০৬ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। পরে নির্বাচিত হন আবজাল হোসেন।

কিশোরগঞ্জ-০৪ আসনে নির্বাচিত হয়ে ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ থেকে ২৩ এপ্রিল ২০১৩ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

আব্দুল হামিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি চির্বাচনে ক্ষমতাসিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন২১ এপ্রিল। আর কোন প্রার্থী না থাকায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজি রকিবউদ্দিন আহমদ ২০ এপ্রিল তাঁকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা দেন। ফলে জাতীয় সংসদের ইতিহাসে দ্বিতিয় স্পিকার হিসেবে দেশের তৃতীয় অবস্থান থেকে প্রথম অবস্থানে উন্নীত হলেন। তিনি ২৪ এপ্রিল ২০১৩ সালে ভারপ্রাপ্ত স্পিকার শওকত আলী’র কাছে শপথ গ্রহণ করেন।

জনাব অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ২০১৮ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি পুনঃনির্বাচিত হন এবং ২৪শে এপ্রিল ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।



১৯৫৯ সালে ছাত্রলীগে যোগদান করেন। ১৯৬১ সালে আইউব বিরোধী আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৬তে ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক কারাবরণ করেন। ১৯৬৩ সালে গুরু দয়ালের ছাত্র থাকা অবস্থায় ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হন।

১৯৬৪ সালে কিশোরগঞ্জ মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতি। ১৯৬৬-১৯৬৭ অবভক্ত ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে ১৯৬৮ সালে পুনরায় কারাগারে যান।

১৯৬৯ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। তিনি ১৯৭০ সালে ময়মনসিনহ-১৮ নির্বাচনী এলাকা থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন।

তিনি কিশোর গঞ্জের অন্যতম মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ১৯৭২ সালে তিনি গণপরিষদ সদস্য মননীত হন। ৭ মার্চ ১৯৭৩ সালে ১ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ততকালীন ময়মনসিংহ-৩০ (বর্তমান কিশোরগঞ্জ-৫) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, যা পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি এর আরও খবর: