অপহরণের ১ দিন পর ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৪
 
                                                                                                এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। জঙ্গীবাদ, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা এবং অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি মনুষ্য অপরহরণকারী চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা তৎপর। 
গতকাল  নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জানতে পারা যায় যে,  গত ২০ তারিখ ভিকটিম  তার বোনের বাড়ি আশুলিয়ায় বেড়াতে আসে। গত ২৩ জুন ২০২১ তারিখ  ভিকটিম বেড়ানোর  উদ্দ্যেশ্যে  তার বোনের বাসা থেকে বের  হলে রাত  আনুমানিক ০৮.৫০ ঘটিকার সময় আশুলিয়া থানাধীন গাজীরচট নামক এলাকা থেকে সে অপহৃত হয়। অপহরণকারীরা ভিকটিমের চোখ বেধে বিভিম্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়।  এক পর্যায়ে একটি বাসায় নিয়ে  অপহরনকারীরা ভিকটিম কে বেধড়ক মারধর করতে থাকে এবং ভিকটিমের কান্নার শব্দ  মোবাইলের মাধ্যমে ভিকটিমের বড় বোন কে শোনানো হয় এবং ভিকটিমের  বোনের নিকট  তার মুক্তির জন্য ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি  করা হয়। উক্ত মু্ক্তিপণ না দিলে ভিকটিমকে প্রাণে মেরে ফেলে লাশ গুম করার হুমকি দেয়া হয়। এরুপ  ঘটনায় প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-৪ ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গত  ২৪/০৪/২০২১ তারিখ রাত ০৮.১০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে  ঢাকা জেলার  ধামরাই থানাধীন ইসলামপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মুক্তিপণ আদায়ের কাজে ব্যবহৃত  ০৪টি  মোবাইলসহ অপহৃত ভিকটিম খোকন (২১) কে উদ্ধারপূর্বক নিম্নোক্ত ০৪ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়ঃ
(১)	মোঃ পাপ্পু মোল্লা (২৬), জেলা- মানিকগঞ্জ।
(২)	মোঃ নাহিদ (২১), জেলা-মানিকগঞ্জ।
(৩)	মোঃ রিমন  (২০), জেলা-গাইবান্ধা।
৪।মোঃ রাকিব (১৯), জেলা-গাইবান্ধা।
	প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, অপহরণকারীরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র এবং  তারা সকলেই পাপ্পু কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য।  তারা  ভিকটিম কে মারধর করে গুরুতর জখম করে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানায় যে,  তারা দীর্ঘদিন ধরে   ঢাকা জেলার আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই থানা এলাকাসহ আশেপাশের এলাকায় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ডাকাতি, ছিনতাই  এবং অপহরন করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিলো। 
উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে  অপহরণকারী চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোড়ালো সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
                                
 
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            