ইউনিয়ন ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার নিট মুনাফা বেড়েছে ৩ গুণ
দেশের চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ইউনিয়ন ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার নিট মুনাফা তিন গুণ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৮১ কোটি রুপিতে। গত বৃহস্পতিবার ২৯ জুলাই ব্যাংকটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
ব্যাংকটি বলছে, মূলত নিট সুদ আয় ও সম্পদের গুণগত মান বাড়ার কারণে এ প্রান্তিকে তারা ভালো মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছে। এর আগে গত বছর একই সময়ে তাদের কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ৩৩৩ কোটি রুপি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম প্রান্তিকে ইউনিয়ন ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সমন্বিত মুনাফা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১২০ দশমিক ১৫ কোটি রুপিতে।
ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে ব্যাংকের কার্যক্ষমতা স্থিতিশীল এবং যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। ৩ থেকে ৪ প্রান্তিক শেষে মুনাফা অর্জনের দিক থেকে ব্যাংকটি একটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে।
ইউনিয়ন ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজকিরণ রায় জি জানিয়েছেন, যদিও প্রথম প্রান্তিকের প্রথম দুই মাসে আমাদের লোকসান হয়েছে, তবুও জুন নাগাদ এটি স্থিতিশীল পর্যায়ে ছিল। সংখ্যার দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এমএসএমই সাইড থেকে আসা কিছু খেলাপি ঋণ ব্যতীত মুনাফার পরিমাণ খুব স্থিতিশীল রয়েছে।
গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছর একই সময়ে ইউনিয়ন ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার নিট সুদ আয় ৯.৫৩ শতাংশ বেড়ে ৭ হাজার ১৩ কোটি রুপিতে দাঁড়িয়েছে। গত বছরে একই সময়ে নিট সুদ আয়ের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৪০৩ কোটি রুপি।
ইউনিয়ন ব্যাংক জানায়, গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে তাদের বেসিস পয়েন্ট ৩০ বেড়ে ৩.০৮-এ পৌঁছেছে। যেখানে গত বছর এ সময়ে বেসিস পয়েন্টের পরিমাণ ছিল ২.৭৮।
এ সময়ে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের গড় পরিমাণ ১৩৫ বেসিস পয়েন্ট কমে ১৩.৬০-এ পৌঁছেছে। গত বছর প্রথম প্রান্তিকে এর পরিমাণ ছিল ১৪.৯৫। নিট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২৮ বেসিস পয়েন্ট কমে ৪.৬৯-তে পৌঁছেছে, গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে এর পরিমাণ ছিল ৪.৯৭ বেসিস পয়েন্ট।
রাজকিরণ রায় জানান, প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটি ৭ হাজার ৪৯ কোটি রুপি আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। এর ৪৫ শতাংশই হয়েছে এমএসএমই খাতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার কারণে।
তিনি জানান, কভিডকালীন খাতটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর্থিক কাঠামো পুনর্গঠন ও জরুরি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিমের সহায়তায় এ ক্ষতি অনেকটা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে।