সাহসিকতার জন্য কোস্টগার্ড পদক পেয়ে থাকেন কর্মকর্তা ও নাবিকরা
বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পদক, প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড পদক, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড (সেবা) পদক ও প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড (সেবা) পদক পেয়ে থাকেন কর্মকর্তা ও নাবিকরা।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব পদক দেয়া হয়। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বর্তমানে দেশের বিশাল সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। দেশের সমুদ্রসীমা ও উপকূলীয় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ, জনগণের জানমাল রক্ষা, চোরাচালান-মাদক-মানব পাচার দমনের পাশাপাশি নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ ও সহায়তার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড মানুষের মাঝে নিরাপত্তা ও আস্থার বিশ্বস্ত প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এছাড়া কোস্টগার্ডের নিরলস প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর ঝুঁকিপূর্ণ বন্দরের তালিকা থেকে বের হয়ে একটি নিরাপদ বন্দরে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড প্রায় ১১৩ কোটি টাকার চোলচালানকৃত পণ্য আটক, ১ হাজার ৩৩৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার মৎস্য ও অবৈধ জাল, ৯৯ কোটি ৫ লাখ টাকার অবৈধ মাদক এবং ৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার কাঠ আটক করে। এছাড়া করোনাভাইরাস রোধে লকডাউন ব্যবস্থাপনা ও জননিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি খাদ্যসামগ্রী নিয়ে অসহায়, দুস্থ, কর্মহীন এবং শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে কোস্ট গার্ড।
প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ দিক নির্দেশনা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বিভিন্ন আধুনিক জাহাজ, ঘাঁটি ও জলযান সংযোজনের মাধ্যমে বর্তমানে এ বাহিনীর সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোস্টগার্ডকে একটি আধুনিক এবং যুগোপযোগী বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে গত ১৫ নভেম্বর এই বাহিনীতে একই সঙ্গে যুক্ত হয় নয়টি জাহাজ এবং একটি ঘাঁটি।