শিরোনাম

ইসির ৪ কর্মচারীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন

 প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২১, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন   |   নির্বাচন কমিশন


রমজান বিবি ওরফে লাকী নামে এক রোহিঙ্গা নারী ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই হাটহাজারীর মীর্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি জাতীয়তা সনদ সংগ্রহ করেন। পরে তিনি এই সনদ ও ভুয়া এনআইডি ব্যবহার করে পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। এরপর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তার স্বামী রোহিঙ্গা নাগরিক নজির আহমদ ও তাদের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ও জান্নাতুল বাকিয়ার জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন করেন। জন্ম নিবন্ধন সনদ নিয়ে এই দুই মেয়েও একইভাবে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। এজাহারে বলা হয়, রোহিঙ্গা হওয়ার পরও হাটহাজারী নির্বাচন কার্যালয় থেকে এনআইডি সার্ভারে লাকীর তথ্য আপলোড করা হয়েছিল। এই ভুয়া এনআইডি তৈরিতে জয়নাল আবেদীন ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর সত্যসুন্দর, সাইফুদ্দিন ও নূর আহম্মদ জড়িত ছিলেন।

চট্টগ্রাম এক রোহিঙ্গা নারীকে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র পাইয়ে দেয়ার অভিযোগে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের চার কর্মচারিসহ ১১ জনকে আসামী করে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত মঙ্গলবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর উপ সহকারি পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন বাদি হয়ে মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় একে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন, নূর আহম্মদ, অস্থায়ী ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. সাইফুদ্দীন, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সত্যসুন্দর দে, হাটহাজারী উপজেলার মীর্জাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবসার, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল ইসলাম, জন্মসনদ প্রস্তুতকারী বেলাল উদ্দিন, মীর্জাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুছ সালাম, তার ছেলে আজিজুর রহমান, রোহিঙ্গা নারী লাকী ওরফে রমজান বেগম এবং তার স্বামী নজির আহম্মেদ।

নির্বাচন কমিশন এর আরও খবর: