শিরোনাম

রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংগঠনটির নবীন-প্রবীণ সদস্যদের নিয়ে কেক কাটলেন তথ্যমন্ত্রী

 প্রকাশ: ২৭ মে ২০২১, ০২:১২ অপরাহ্ন   |   মিডিয়া কর্নার



বুধবার (২৬ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দুই-একটি ঘটনা সাংবাদিকদের সঙ্গে সরকারের আন্তরিকতার সম্পর্ক বিনষ্ট করতে পারে না।
সরকার সাংবাদিকবান্ধব উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সাংবাদিকবান্ধব সরকার। আমাদের সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে অনেক কাজ করেছে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠিত হয়েছে। করোনাকালে সাংবাদিকদের যে সহায়তা করা হচ্ছে সেটি আশেপাশের কোনো দেশে করা হচ্ছে না। একইসঙ্গে করোনাকালে এককালীন সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তথ্য কমিশন তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য গঠিত হয়েছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির জায়গাটিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাদ্দ দিয়েছেন। জায়গাটি নিয়ে জটিলতা ছিল, সেটি নিরসন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাধান করেছেন। আমরা মনে করি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হচ্ছে গণমাধ্যম। সুতরাং গণমাধ্যমের বিকাশ রাষ্ট্রের প্রয়োজনেই প্রয়োজন। সে কারণেই লেখার স্বাধীনতা থাকা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে কোনো প্রাইভেট চ্যানেল ছিল না। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রাইভেট চ্যানেলের যাত্রা শুরু হয়েছিল। আজ ৩৪টি প্রাইভেট চ্যানেল সম্প্রচারে, আরও ১১টি সম্প্রচারের অপেক্ষায়। শত শত অনলাইন এখন পরিচালিত হচ্ছে, পত্রিকার সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। গণমাধ্যমের এই বিস্তৃতির ফলে সাংবাদিকদের পরিধিও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু একইসঙ্গে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে কিছু ভূঁইফোর অনলাইন এবং কিছু পত্রিকার ডিক্লারেশন আছে যেগুলো সাংবাদিকতা করে না, সেখানে অনেকে সাংবাদিক হিসাবে কার্ড নিয়ে সাংবাদিকতা করেন না। তাদের কারণে মূলধারার সাংবাদিকদের বদনাম হয়। এখানে একটি শৃঙ্খলা আনা দরকার।
করোনা মহামারির মধ্যে শুরু থেকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ যেভাবে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সেটি একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। একইসঙ্গে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে সব সদস্যের প্রয়োজনে তারা পাশে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এমন একটি জায়গায় এসেছে যে, সব রিপোর্টারদের ভরসার জায়গায় হয়েছে। সাংবাদিকদের মধ্যে অনেকগুলো ধাপ আছে, অনেকগুলো পদ আছে। কিন্তু একজন রিপোর্টার যে কাজগুলো করেন সেটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রিপোর্টারের রিপোর্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকদের হাতে একটি ক্ষমতা আছে, তাদের কলমের ক্ষমতা যে কত বড় সেটা হয়তো তিনি নিজেও অনুধাবন করতে পারেন না। যার কাছে ক্ষমতা নেই তাকে ক্ষমতাবান করতে পারেন তারা।
অনুষ্ঠানে রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংগঠনটির নবীন-প্রবীণ সদস্যদের নিয়ে কেক কাটেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, কেউ স্বীকার করুক আর না করুক, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ১২ বছর আগে শোনা যেতো—মা আমাদের একমুঠো ভাত দেন। এখন আর তা নেই। এখন আর আকাশ থেকে কুঁড়েঘর খুঁজে পাওয়া যায় না। কেউ শিকার করুক আর না করুক এখন আর ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যায় না, খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। এটিই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিনএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, ডিআরইউর সভাপতি মুরসালিন নোমানী বক্তব্য রাখেন।

মিডিয়া কর্নার এর আরও খবর: