করোনা প্রতিরোধে নিরলস ছুটছেন মেয়র রাসেল
 
                                                                                                রনি ইমরান (পাবনা):
করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে উপজেলায় শ'তাধিক করোনা আক্রান্ত নারী ও পুরুষ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে পাঁচজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অন্যরা নিজ বাড়িতে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেকে কিনে অথবা ভাড়া করে অক্সিজেন সাপোর্ট নিচ্ছেন । এখন থেকে করোনার শ্বাসকষ্টের রোগীদের অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা চালু করেছে ভাঙ্গুড়া পৌরসভা। পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম ও ক্লিনিক মালিকদের সাথে সমন্বয় করে এই সেবা প্রদান শুরু করেন। 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ মাসে এ উপজেলায় ৭০/৭৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। কিন্তু গত একমাস সেই সংখ্যা ২৫০ ছাড়িয়েছে। প্রতিদিনই গড়ে ১০ জন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। শনাক্তের হার ৫০ শতাংশের উপরে। তবে সর্দি-জ্বর ও কাশি সহ নানা উপসর্গে আক্রান্ত উপজেলার অধিকাংশ মানুষ করোনা পরীক্ষা করাতে অনীহা দেখাচ্ছেন। উপসর্গে ভোগা এসব ব্যক্তিরা করোনা পরীক্ষা করালে শনাক্তের সংখ্যা ও হার আরো বেড়ে যেত।এদিকে এই সপ্তাহে কোভিড পজিটিভ হয়ে উপজেলায় দুজনের মৃত্যু এবং উপসর্গে একজনের মৃত্যু হয়।  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমওডিসি ডাক্তার নাজমুস সাকিব ও ডাক্তার আব্দুল হান্নান সহ অন্যান্য চিকিৎসক সশরীরে ও টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে করোনা আক্রান্ত এসব রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় গত মে মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেন ব্যাংক স্থাপনের দরপত্র আহ্বান করে উপজেলা প্রকৌশল অফিস। কিন্তু এখনও এই কাজের শুরু করেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। যথা সময়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও আগামী ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করোনা মহামারীর শঙ্কায় ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেলের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার পৌর কার্যালয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও  ক্লিনিক মালিকদের নিয়ে এক সভার আয়োজন করেন। এতে পৌরসভার ৩০ টি, হেলথকেয়ার ও নিরাপদ ক্লিনিকের ৩০টি এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের ৩০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই ৯০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে উপজেলার১ লাখ ৩৭ হাজার মানুষের মধ্যে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাদের অক্সিজেন সেবা দেয়া হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মীরা এই সেবা প্রদান করলেও সার্বিক কার্যক্রম দেখভাল করবেন পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল জব্বার সানা বলেন, তরুণ মেয়র রাসেল করোনার শুরু থেকেই মানুষকে সচেতন করতে প্রতিনিয়ত ছুটে বেড়াচ্ছেন। জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাতে পৌর শহরে ভালো ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে সহযোগিতা করলে সহজেই করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। এ অবস্থায় জনগণের কথা চিন্তা করে এতগুলো অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করে আরো দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন মেয়র রাসেল।
পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, জনগনকে সচেতন করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালাতে অনেক চেষ্টা করেছি। এরপরও করোনাভাইরাস ক্রমশই বিস্তার করছে। পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। তাই মানুষের জীবনের কথা ভেবে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সরবরাহ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনে আরও অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করা হবে।
                                
 
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            