পিবিআই কিশোরগঞ্জের নয় বছরের শিশু হত্যার রহস্য উন্মোচন করল
কিশোরগঞ্জে নয় বছরের শিশু ধর্ষণের পর হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেটিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় রাতে পিবিআইয়ের সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতের নাম মো. নজরুল ইসলাম।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহেক আসামি নজরুল ইসলামকে ঢাকার আশুলিয়ার বাড়ইপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি নজরুল ইসলাম নয় বছরের শিশু সাদিয়া আক্তার টুনি ওরফে বৃষ্টিকে অপহরণের ধর্ষণ করে হত্যা করেছে বলে কিশোরগঞ্জ জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
নিহত সাদিয়া আক্তার টুনি ওরফে বৃষ্টি কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি থানার লোহাজুরি গ্রামের মো. চুন্নু মিয়ার মেয়ে।
নিহত বৃষ্টির বাবা চুন্নু মিয়া মাছ ধরার জন্য পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীতে যান। প্রতিদিনের মতো ওইদিন সকাল সাড়ে সাতটার সময় সাদিয়া আক্তার টুনি ওরফে বৃষ্টি মাছ আনার জন্য নদীর ধারে যায়। ওইদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ ধরতে না পাওয়ায় চুন্নু মিয়া তার মেয়ে বৃষ্টিকে বাড়িতে চলে যেতে বলে। পরে সকাল সাড়ে নয়টার সময় জাল ও মাছ নিয়ে তার বাড়িতে চলে আসে। পরে নিহত সাদিয়া আক্তার টুনি ওরফে বৃষ্টিকে খোঁজ করে। আশপাশের বাড়িতে খোঁজ করে না পেয়ে আরো লোকজনসহ নদীর ধারে খোঁজাখুঁজি করে। পরে জয়নালের পাট ক্ষেতে বৃষ্টির মা, খালা এবং মামা বৃষ্টির পা দুটি কাঁচা পাট গাছে পেচানো এবং গলায় ওড়না দিয়ে পেচানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে এ ঘটনায় কটিয়াদী থানায় গত ২ জুলাই মামলা করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাদিয়া আক্তার টুনি ওরফে বৃষ্টিকে হত্যার পর থেকে পিবিআইয়ের কিশোরগঞ্জ জেলার ক্রাইমসিন ইউনিট এই হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিহত বৃষ্টি আসামি নজরুলের কাকরল ক্ষেতে বৃষ্টির জমা পানি নামানোর জন্য জমিতে যায়। জমি থেকে পানি নামিয়ে বাড়িতে আসার সময় পাটক্ষেতে বৃষ্টিকে ধর্ষণের জন্য জড়িয়ে ধরে। পরে বৃষ্টি এই কথা তার মা-বাবার কাছে বলে দিবে বলে দেবে জানালে, নজরুল বাম হাত দিয়ে বৃষ্টির মুখ চাপিয়া ধরে অপহরণ করে পাটক্ষেতে নিয়ে যায়। পরে বৃষ্টিকে ধর্ষণ করে। পরে বৃষ্টি বেশি নড়াচড়া করে বাঁচার চেষ্টা করলে নজরুল তার বাম হাত দিয়ে মুখে এবং ডান হাত দিয়ে গলায় চাপ দিয়ে ধরে হত্যা করে। এরপর তিনি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকেন। পরবর্তীতে তিনি গা ঢাকা দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পলাতক ছিলেন।