স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন যুগ্ম সচিব উম্মে সালমা তানজিয়া
স্বাস্থ্য খাতে অবদানের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ করেছেন উম্মে সালমা তানজিয়া। উম্মে সালমা তানজিয়া সম্প্রতি স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন । এর আগে তিনি সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা অধিশাখার যুগ্মসচিব এর দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা অধিশাখার অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এর আগে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের শুদ্ধাচার ও প্রশাসনিক সংস্কার শাখার স্মারকের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ‘শুদ্ধাচার প্রদান নীতিমালা-২০১৭’ জারি করা হয়েছে। সে অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার প্রধানদের মধ্যে গ্রেড ০১ হতে ১০ গ্রেড ও গ্রেড ১১ হতে গ্রেড ২০ গ্রেডের নিম্নোক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২১ এ মনোনীত হন উম্মে সালমা তানজিয়া।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় দেশ সেরা জেলা প্রশাসক নির্বাচিত হয়েছিলেন উম্মে সালমা তানজিয়া। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড -২০১৭ পুরস্কারের জন্য আইসিটির মাধ্যমে নাগরিক সেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে দেশ সেরা জেলা প্রশাসক নির্বাচন করা হয়। ভার্চুয়াল জগতেও তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে তার ৬১ হাজারেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে।
২০১৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর উম্মে সালমা তানজিয়া ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক হিসাবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই প্রশাসনকে জনবান্ধব করার লক্ষ্যে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেন তিনি। জেলা ই-সেবা কেন্দ্র, ইউডিসি, হেল্প ডেস্ক, জয়িতা অঙ্গন, ডিজিটাল হাজিরাসহ নানা কর্মসূচি চালু ও সেবার মান উন্নয়নসহ সবক্ষেত্রে কাজের গতি সঞ্চার করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের আধুনিক ও নৈতিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের সমন্বয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। ২৫০টির অধিক স্কুল ও কলেজে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
বেগম উম্মে সালমা তানজিয়া রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ১৯৯৮ সালে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে সহকারী কমিশনার হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় যোগদান করেন। এরপর বিভিন্ন জেলায় সহকারী কমিশনার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সিরাজগঞ্জ জেলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালের মার্চে উপসচিব হিসেবে পদোন্নতি পান। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশনে (এ টু আই) কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।