ওয়াশিং মেশিনের নতুন প্রোডাকশন লাইন ও নতুন মডেলের উদ্বোধন করলো ওয়ালটন
 
                                                                                                ওয়াশিং মেশিনের নতুন আরেকটি প্রোডাকশন লাইন চালু করলো ওয়ালটন। যেখানে তৈরি হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির টপ লোডিং ওয়াশিং মেশিন। এর ফলে ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিন কারখানায় প্রোডাকশন লাইনের সংখ্যা দাঁড়ালো ২টিতে। ৫ লাখ বর্গফুট আয়তনের ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিন কারখানায় মাসিক উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমানে ৫০,০০০ ইউনিট। কর্মীর সংখ্যা ১ হাজারেরও বেশি। একইসঙ্গে অত্যাধুনিক ফিচারের ‘এটিজি৮০’ মডেলের নতুন একটি ওয়াশিং মেশিন উদ্বোধন করা হয়।
শনিবার (১২ জুন ২০২১) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় নতুন প্রোডাকশন লাইন এবং নতুন মডেলের ওয়াশিং মেশিনের উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক তাহমিনা আফরোজ তান্না। 
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার, নির্বাহী পরিচালক কর্নেল (অবঃ) শাহাদাত আলম, তাপস কুমার মজুমদার, ইউসুফ আলী, ইয়াসির আল ইমরান, হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সিইও আল-ইমরান, সিওও সাইফুল ইসলাম, আরএন্ডডি হেড মনিরুজ্জামান কার্জন, ওয়াশিং মেশিনের আরএন্ডডি ইনচার্জ খায়রুল বাশার, ব্র্যান্ড ম্যানেজার খন্দকার আশিকুল হাসান, সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর মোহসিন আলী মোল্লা প্রমুখ।
অনলাইনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রেজওয়ানা নিলু, এমদাদুল হক সরকার ও হুমায়ূন কবীর, ওয়ালটন প্লাজা ট্রেডের সিইও মোহাম্মদ রায়হান, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম ও সাখাওয়াৎ হোসেন।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক তাহমিনা আফরোজ তান্না বলেন, ওয়াশিং মেশিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি গৃহস্থালী পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে। কোভিড-১৯ দুর্যোগে এই পণ্যটির প্রয়োজনীয়তা আরো বেশি অনুভূত হচ্ছে। বাংলাদেশে বিশ্বমানের ওয়াশিং মেশিন উৎপাদনে ওয়ালটন ব্যাপক সাফল্য দেখাচ্ছে। এ ধরনের অত্যাধুনিক পণ্য যুগের সাথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
প্রকৌশলী আল-ইমরান জানান, ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্সের যাত্রা শুরু ২০১৪ সালে। আর ২০১৭ সালে ওয়াশিং মেশিন উৎপাদন ও বাজারজাত শুরু করে ওয়ালটন। ওয়াশিং মেশিন উৎপাদনে ওয়ালটনের রয়েছে সুদক্ষ ও মেধাবী প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে শক্তিশালী আরএন্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ণ) বিভাগ। বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটন কারখানায় রয়েছে ওয়াশিং মেশিনের পারফর্মেন্স টেস্টিং ল্যাব, ৫ স্টার এনার্জি রেটিং এবং ৫ বছরের সার্ভিস সুবিধা। বিশ্বমানের পণ্য তৈরি ও সাশ্রয়ী দামে সরবরাহ করায় দেশের বাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিনের চাহিদা। ভারত, নেপাল, ইয়েমেন এবং পূর্ব তিমুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেসব রপ্তানি করছে ওয়ালটন। এবার ইউরোপসহ উন্নত বিশ্বের বাজার টার্গেট করে এই পণ্যটির উৎপাদন কার্যক্রম জোরদার করেছে ওয়ালটন।
প্রকৌশলী খায়রুল বাশার জানান, নতুন আসা এটিজি৮০ মডেলের ওয়াশিং মেশিনটি ইউরোপীয়ান স্ট্যান্ডার্ডের ‘এ ট্রিপল স্টার’ এনার্জি রেটিংপ্রাপ্ত । এতে প্রতি ওয়াশে বিদ্যুৎ খরচ হবে ১ টাকারও কম। এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে ডায়মন্ড ড্রাম, হাই ইফিসিয়েন্ট পালসেটর, ওয়াটার রিকভারি প্রোগ্রাম, আইএমডি কন্ট্রোল প্যানেল, ডিজিটাল ডিসপ্লে, দীর্ঘস্থায়ী পিসিএম কেবিন, ৪৩০ গ্রেড স্টেইনলেস স্টিল ড্রাম, সফট ক্লোজিং টেম্পারড গ্লাস ডেম্পিং ডোর, স্মার্ট ফাজি লজিক কন্ট্রোল, পাওয়ার অফ মেমোরি ব্যাকআপ, অটোমেটিক লোড ব্যালেন্সিং, কুইক ওয়াশ, লেফট টাইম ডিসপ্লে, সেলফ ডায়াগনস্টিক ফল্ট ফাইন্ডিং কনভেনিয়েন্ট ডিটারজেন্ট বক্স, ইফেক্টিভ লিন্ট ফিল্টার, ড্রাম ক্লিন ইত্যাদি। 
কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে ২৯টি মডেলের সেমি অটোমেটিক এবং অটোমেটিক টপ ও ফ্রন্ট লোডিং ওয়াশিং মেশিন উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। ৬ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত ধারণক্ষমতার এসব ওয়াশিং মেশিনের মূল্য ৮,৯৯০ টাকা থেকে ৫৯,৯০০ টাকার মধ্যে। ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিন অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক সব ফিচার। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তম সেবা দিতে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে ওয়ালটনের রয়েছে ৭৬টি সার্ভিস সেন্টার। 
করোনাকালে ওয়াশিং মেশিনে বিশেষ ছাড় দিচ্ছে ওয়ালটন। এখন সর্বনি¤œ মাত্র ৯৯৯ টাকা ডাউনপেমেন্টে কেনা যাচ্ছে ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিন। আছে ফ্রি ইন্সটলেশন, জিরো ইন্টারেস্টে ১২ মাসের ইকুয়্যাল মান্থলি ইন্সটলমেন্ট (ইএমআই), ৩ মাসের রিপ্লেসমেন্ট, সর্বোচ্চ ১২ বছরের মোটর ওয়ারেন্টিসহ নানা সুবিধা।
এদিকে ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১১’ এর আওতায় ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী চলছে ‘ওয়ালটন মেগা ঈদ ফেস্টিভ্যাল’। ক্যাম্পেইনে ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিন কিনলে সুযোগ রয়েছে লাখ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও নিশ্চিত ছাড় পাওয়ার। রয়েছে যে কোনো ব্র্যান্ডের সচল অথবা অচল ওয়াশিং মেশিন বদলে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের নতুন ওয়াশিং মেশিন এক্সচেঞ্জ করার সুযোগ। নগদ মূল্যের পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করলে ১ বছর পর্যন্ত রয়েছে জিরো ইন্টারেস্ট সুবিধা। 

 
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            