টেলিযোগাযোগ খাতের কর সম্পর্কিত সুপারিশগুলো পুনর্বিবেচনার আহ্বান এমটবের

টেলিযোগাযোগ খাতের কর সম্পর্কিত সুপারিশগুলো পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব)।
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে টেলিযোগাযোগ খাতের প্রতিক্রিয়া জানাতে গতকাল আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করেছে সংগঠনটি ।
সংবাদ সম্মেলনে এমটবের মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম ফরহাদ (অব.) বলেন, প্রতিনিয়ত টেলিযোগাযোগ শিল্প বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে মোবাইল খাতে কর যৌক্তিকতার বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে অলাভজনক অপারেটরের ওপর ন্যূনতম ২ শতাংশ টার্নওভার ট্যাক্স প্রত্যাহার বা যুক্তিসংগত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। এছাড়া উচ্চ করপোরেট করহারকে যৌক্তিক এবং সহনীয় পর্যায়ে হ্রাস করে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত অপারেটরদের কর যথাক্রমে ২৫ ও ৩২ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলছে সংগঠনটি।
অন্যান্য দাবির মধ্যে সরাসরি অপারেটর বিলিং থেকে পরিপূরক শুল্ক ও সারচার্জ প্রত্যাহার, সব ইনটানজিবল সম্পদের ওপর এমোরটাইজেশন সুবিধা প্রদান করা, মোবাইল সিমের ওপরে আরোপিত ২০০ টাকা কর বিলুপ্ত করা, প্রতি ১০০ টাকা টক টাইমের ওপর ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর ৩৩ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ২১ দশমিক ৭৫ শতাংশ ভ্যাট, এসডি ও সারচার্জ যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে এমটব। সংবাদ সম্মেলনে বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, গ্রামীণফোনের ডিরেক্টর ও হেড অব পাবলিক অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত, রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মোবাইল কাভারেজের বিস্তৃতি সত্ত্বেও বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এখনো মোবাইল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেনি বলে জানান এসএম ফরহাদ। ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) মতে, উন্নয়নশীল দেশগুলোয় মোবাইল ব্রডব্যান্ডের ব্যবহার ১০ শতাংশ বাড়লে মাথাপিছু জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সুতরাং করের মাত্রা কমিয়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধি সহজেই ত্বরান্বিত করতে পারে সরকার।