ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে দ্রুত বর্জ্য অপসারণ করে ৫ ওয়ার্ড পাচ্ছে পুরস্কার
ঢাকা উত্তর সিটি মেয়রের ঘোষণা ছিল, যে ওয়ার্ড সবার আগে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কাজ শেষ করতে পারবে, ওই ওয়ার্ডের জন্য বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হবে। ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম নিজের কথা রেখেছেন। নিজে মাঠপর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করে এবং কর্মকর্তা ও কর্মীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পাঁচটি ওয়ার্ডকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করেছেন।
কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণের কাজে প্রথম হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৫–এর আওতাধীন মোহাম্মদপুর এলাকার ৩১ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্বে আছেন শফিকুল ইসলাম ওরফে সেন্টু। বেলা ২টা ৫৫ মিনিটের মধ্যে এই ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণের কাজ শেষ হয়।
কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এত খুশি লাগছে যে এই দুঃসময়ে এমন একটি স্বীকৃতি পাচ্ছি। এর পেছনে আমার ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতাকর্মী, বিভিন্ন ক্লাব, বাড়ি মালিক সমিতি, সমাজকল্যাণ কমিটি, স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদ কমিটি এবং সর্বোপরি সাধারণ জনগণের সম্পৃক্ততায় এটি সম্ভব হয়েছে।’
এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে ৪৬ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড। এই দুই ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা হচ্ছেন মো. জাইদুল ইসলাম মোল্লা ও মো. মফিজুর রহমান। এর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান পাওয়া ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডটি ঢাকা উত্তর সিটিতে যুক্ত নতুন ওয়ার্ড।
কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণের এই কাজে ওয়ার্ডগুলোকে উৎসাহিত করতে আরও দুটি ওয়ার্ডকে চতুর্থ ও পঞ্চম পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। ওয়ার্ড দুটি হচ্ছে ১৩ নম্বর ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইসমাইল মোল্লা ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. তফাজ্জল হোসেন।
ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারের কাজে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের উৎসাহ দিতেই এই পুরস্কার প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে করে দ্রুততম সময়ে বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রেও কাউন্সিলরদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা দেখা গেছে। শিগগিরই এই বিশেষ পুরস্কার পাঁচ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের হাতে হস্তান্তর করা হবে বলেও তিনি জানান।