পশু জবাইয়ের পর সৃষ্ট বর্জ্য ১০ ঘণ্টায় অপসারণ চসিকের
 
                                                                                                চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নগরের কোরবানির পশু জবাইয়ের পর সৃষ্ট বর্জ্য ১০ ঘণ্টার মধ্যে ৮০ শতাংশ অপসারণ করে। কোরবানির দিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হয়। চসিক নগরের ৪১ ওয়ার্ড থেকে ঈদের দিন ও পরের দিন মিলে প্রায় ১২ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করে। এবার চট্টগ্রাম নগরে প্রায় ৮ লাখ ৯ হাজার পশু জবাই করা হয় বলে জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ জানায়।   
চসিক সূত্রে জানা যায়, কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নানা প্রস্তুতি নেয়া হয়। নগরের ৪১ ওয়ার্ডকে উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম চার জোনে ভাগ করে চারজন কাউন্সিলরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুরো নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ তত্ত্বাবধান করেছেন চসিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী। দামপাড়া অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বর্জ্য অপসারণ কাজে যুক্ত ছিলেন ৩ হাজার ৭০০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ছিল ১৪০টি বড় আকারের কন্টেইনার, এসব বর্জ্য অপসারণে ছিল মোট ৩৩০টি গাড়ি। তাছাড়া যত্রতত্র পশু জবাই ও ময়লা ফেলা রোধ করতে মাঠে ছিল জেলা প্রসাশন ও চসিকের ম্যাজিস্ট্রেট। চসিকের ডোর টু ডোর পরিচ্ছন্ন কর্মীরা জবাইকৃত পশুর ময়লা-আবর্জনা ও খড়কুটোসহ নানা বর্জ্য সংগ্রহ করে রক্ত ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেয়।  
চসিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. মোবারক আলী বলেন, ঈদের দিন সাত হাজার টন এবং পরদিন ৫ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়। নির্ধারিত সময়ের আগেই পরিচ্ছন্ন কর্মীরা বর্জ্যগুলো অপসারণ করে ফেলেন। তবে কিছু অসচেতন মানুষ অনেকটা দেরি করেই বর্জ্য বের করে দেয়। ফলে কিছু ময়লা অপসারণ করতে বিলম্ব হয়ে যায়। ফলে প্রথম দিনে শতভাগ সফল বলছি না। তবে নগরবাসী সন্তুষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, গত দুই বছর চামড়া নিয়ে একটা বড় সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তাই এবার চামড়াগুলো চসিকের গাড়ি দিয়ে ষোলশহর সুন্নিয়া মাদ্রাসায় জমা করা হয়। পরে সেখান থেকে ট্যানারিরা সংগ্রহ করছে। তাই গতবারের মত চামড়া যত্রতত্র পড়ে থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়নি।  
                                
 
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            