শিরোনাম

মুন্সীগঞ্জে লকডাউন বাস্তবায়নে কড়া নিরাপত্তায় ছিলেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা

 প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২১, ০৭:২৭ অপরাহ্ন   |   জেলা প্রশাসন


কঠোর লকডাউনে গতকাল ৩ জুলাই ২০২১ইং তারিখ শনিবার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের ছনবাড়ী, সিরাজদীখানের নিমতলা ও লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ফেরিঘাট এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কড়া নিরাপত্তায় ছিলেন।
এছাড়া লকডাউনে মুন্সীগঞ্জ শহর ও উপজেলা শহরগুলোতে জরুরি সেবাদানকারী দোকানপাট ছাড়া সব দোকানপাট-মার্কেট বন্ধ রয়েছে। অভ্যন্তরীণ রুটে সিএনজি-অটোরিকশা চলাচল করছে না। গতকাল শনিবার মুন্সীগঞ্জ সদরের সিপাহীপাড়া, মুক্তারপুর ও সুপারমার্কেট এলাকায় সদর থানার পুলিশ সদস্যরা কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। একই সময়ে জেলা শহরের সেনাবাহিনীর টহল চলছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সড়কে বের হওয়া মানুষজন উপযুক্ত কারণ দেখাতে ব্যর্থ হলে তাদেরকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল জানান, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে মোতায়েন করা ৩ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ২ প্লাটুন বিজিবি এবং র্যা ব সদস্যরা কুইক রেসপন্স টিম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
গতকাল শনিবার দিনভর ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে পুলিশ কড়াকড়ি আরোপ করেছে। শ্রীনগরের সমষপুর ও ছনবাড়ি ফ্লাইওভারের সার্ভিস লেনসহ মূল লেনে পুলিশ তাদের গাড়ি আড়াআড়িভাবে রেখে বন্ধ করে রাখে। 
এছাড়া হাঁসাড়া, ষোলঘর ও বাইপাস মোড়ে পুলিশ সদস্যদের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীও লক্ষ্য করা যায়।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেবনাথ বলেন, লকডাউনের আওতায় সরকারি প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিরাজদিখানের নিমতলি ও শিমুলিয়া ফেরিঘাটে এলাকাসহ জেলার ১৭টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়। সেখানে বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের নজরদারিও ছিল।
এছাড়া প্রতিটি থানায় গাড়িতে মাইক লাগিয়ে এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে বাজার এলাকায় জনসচেতনতা কাউন্সেলিং করা হয়।
মুন্সিগঞ্জে গতকাল শনিবার ২৪ ঘণ্টায় ১৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ।
গতকাল শনিবার মুন্সিগঞ্জের সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে সবাই সাধ্যমত চেষ্টা করছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। তারপরেও অনেকে লকডাউনের নির্দেশনা মানছেন না। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, এ পর্যন্ত জেলায় ছয় হাজার ১৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৭২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৮৮৮ জন। মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ৫০ শয্যার করোনা ইউনিটে ২০ জন রোগী ভর্তি আছেন। সেন্ট্রাল অক্সিজেন চালু আছে। হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটের তথ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে জেলার প্রবেশপথসহ বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, ভ্রাম্যমাণ আদালত, আনসার সদস্যদের চেকপোস্ট ও টহল অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জেএম (জুডিশিয়াল মুন্সীখানা) শাখার সহকারী কমিশনার ইলোরা ইয়াসমিন জানান, গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৫২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। এতে ৩৫ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত আছে।

জেলা প্রশাসন এর আরও খবর: