শিরোনাম

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুই মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

 প্রকাশ: ১০ জুন ২০২১, ০২:১৪ অপরাহ্ন   |   স্থল-নৌ-বিমান বন্দর


বুধবার বিকেলে ভারত থেকে ২৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পণ্য ছাড় করাতে ব্যবসায়ীদের আমদানি মূল্যের ওপর শতকরা ৫ ভাগ হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করতে আমদানিকারককে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সেজুতি এন্টারপ্রাইজ। এর মাধ্যমে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুই মাস পর ভারত থেকে আবারও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলো। বেনাপোল 

পেঁয়াজ উৎপাদন সংকট দেখিয়ে এবং দফায় দফায় মূল্য বাড়িয়ে এর আগে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন আমদানিকারকরা। তাদের কয়েকশ কোটি টাকার এলসি খোলা থাকলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে কেনা পেঁয়াজ ওপারে আটকা পড়ায় আমদানি করতে পারেননি। আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার মধ্যে। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়।


বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দর কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমেছে। গত তিন দিন আগে বাজারে পেঁয়াজের মূল্য ছিল কেজিপ্রতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আমদানিকৃত পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে বাজার মূল্য আরও কমে আসবে।

তিনি আরও জানান, যখন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয় তখন সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্যদের কারসাজিতে পেঁয়াজের মূল্য বেড়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্য কিনতে মুশকিলে পড়ে যান। এক্ষেত্রে সরকার যদি দেশে আমদানিকারকদের তালিকা ও তারা কী পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি ও বিক্রি করছেন তা তদারকির প্রতি জোর দেয়, তাহলে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কিছুটা হলেও কমবে।


বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ আমদানিকারক খুলনার হামিদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি জনি ইসলাম জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার মধ্যে বিক্রি করছেন তারা।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত খালাস করতে পারেন, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

স্থল-নৌ-বিমান বন্দর এর আরও খবর: