রাজস্ব আদায়ে কুমিল্লার রেকর্ড, ৫১৩ কোটি টাকার ভ্যাট আদায়

উন্নয়ন অভিযাত্রায় সরকারের রাজস্ব আদায়ের অন্যতম খাত হলো ভ্যাট। ডিজিটালাইজ করে দক্ষতা ও সক্ষমতার মাধ্যমে ভ্যাট, আয়কর ও শুল্ক আরো বাড়ানো যায় সহজে।
মহামারি করোনার সময়েও ভ্যাট আদায়ে রেকর্ড করেছে কুমিল্লা অঞ্চল। ফাইনাল মাস হিসেবে বিবেচিত গত জুন মাসে ৫১৩ কোটি টাকার ভ্যাট আদায় করেছে ১৬টি সার্কেলের সমন্বয়ে গঠিত এ অঞ্চল। সব মিলিয়ে ২০২০-২০২১ সালে ১২ মাসে আদায় হয়েছে ৩ হাজার ১৬৯ কোটি টাকার ভ্যাট। যা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বেঁধে দেওয়া প্রবৃদ্ধি থেকে ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ভ্যাট আদায় ছিল ২ হাজার ৯ শত ১১ কোটি।
১৬টি সার্কেলের মধ্যে চলতি বছরের জুন মাসে লাকসামে সর্বোচ্চ ২৮৫ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। এরমধ্যে আবুল খায়ের একাই দিয়েছে ২৭০ কোটি টাকা। সবচেয়ে কম আদায় হয়েছে নোয়াখালীর রামগতিতে। মাত্র ৫৬ লাখ টাকা। নোয়াখালীর সদর সার্কেলে আদায় হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ কোটি টাকা।
সারা দেশের ১২টি ভ্যাট ও কমিশনারেট এর মধ্যে শুধু কুমিল্লা অঞ্চলে শুধু জুন মাসে আহরণের প্রবৃদ্ধি ৫৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ২১ দশমিক ১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ। ভ্যাট আদায়ের দিক থেকে এককভাবে শীর্ষে রয়েছে বৃহৎ করদাতা ইউনিট । তাদের আদায় ৪৮ হাজার ৮শত ৮৭ কোটি টাকা।
কুমিল্লা ভ্যাট ও কমিশনারেট অফিসের মোট আদায়কৃত ৩ হাজার ১৬৯ কোটি টাকার ভ্যাটের মধ্যে আবুল খায়ের গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের টোব্যাকো থেকেই আদায় হয়েছে ১ হাজার ৯শ কোটি টাকা। অর্থাৎ একটি প্রতিষ্ঠান এককভাবেই ৬০ শতাংশেরও বেশি ভ্যাট দিয়েছে এ অঞ্চলে।
কুমিল্লা ভ্যাটের কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘আমি এখানে যোগ দেয়ার পর দেড়শ জন ফিল্ড অফিসারকে কাজে নামাই যারা ইউনিয়ন পর্যায়ে ভ্যাট আদায়ে তৎপর ছিল। কম কাজ-বেশি আদায়, কম হয়রানি-বেশি যত্ন এরকম ম্যানেজমেন্ট দিয়েই ভ্যাট আদায়ে আমরা সফল হয়েছি। ’
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার থেকে বদলি হয়ে বেলাল হোসাইন চৌধুরী কুমিল্লা ভ্যাটে যোগ দেন ২০২০ সালের ১৫ জুলাই। তিনি যোগ দেয়ার পর ভ্যাটের রিটার্ন দাতার সংখ্যা ১ হাজার বেড়ে ১১ হাজারে উন্নীত হয়েছে। একইসঙ্গে রিটার্ন দাখিলের হার ৫২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯৬ শতাংশে উন্নীত হয়। জেলখানা ও আনসার থেকেও ভ্যাট আদায়ে নজির স্থাপন করা হয়েছে এ সময়।
করোনাকালীন গত ১৫ মাস ধরেই দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের গতি ধীর। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেকেই পুঁজি হারিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার চিন্তা করছে।