শিরোনাম

সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব স্থগিত করলো এনবিআর

 প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২১, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন   |   এনবিআর




বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী (এস কে সুর) এবং তার স্ত্রী সুপর্না সুর চৌধুরীর সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।

বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল থেকে এই স্থগিতাদেশের নোটিশ জারি করা হয়। বিষয়টি  নিশ্চিত করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের একাধিক কর্মকর্তা।


নোটিশে বলা হয়, সরকারি রাজস্ব স্বার্থ সংরক্ষণের নিমিত্তে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১১৬ এ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে নিম্নে বর্ণিত ব্যক্তিগণ ও কোম্পানির নামে আপনার ব্যাংকে পরিচালিত সকল হিসাব হতে অর্থ উত্তোলন/স্থানান্তর স্থগিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
এস কে সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থেকে জানা যায়, তিনি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঘুষ নিয়ে দুর্নীতির বিষয়গুলো গোপন করতেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম চাপা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন কর্মকর্তাদের পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা করে দিতেন। টাকার বিনিময়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম ঢেকে রাখতেন সাবেক এই ডেপুটি গভর্নর।

অন্যদিকে পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী আদালতে দেয়া এক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ঢাকতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নর এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক শাহ আলমসহ অন্যদের সাড়ে ছয় কোটি টাকা ঘুষ দেয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেই ডেপুটি গভর্নর ছিলেন এস কে সুর চৌধুরী।

এর আগে চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল এস কে সুর চৌধুরী ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে সব ব্যাংকে চিঠি পাঠায়। একই চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়েছিল।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, এস কে সুর চৌধুরী ও তার স্ত্রীর সবধরনের মেয়াদি আমানত, চলতি হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি হিসাব, ক্রেডিট কার্ড, লকার বা ভল্ট, সঞ্চয়পত্রসহ সব ধরনের হিসাব স্থগিত করা হয়েছে।

এর আগে এনবিআরের পক্ষ থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই দম্পতির হিসাবের ২০১৩ সালের জুলাই থেকে হালনাগাদ তথ্য চাওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে তাদের আগের বন্ধ থাকা ব্যাংক হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়।



এনবিআর এর আরও খবর: